মোমিনুর রহমান, মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জেরদেলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া, পারুরিয়া, বাচামারা, ইসলামপুর, জোতকাশি ও পাচুরিয়া মৌজার উর্বর কৃষিজমি আজ ভয়াবহ হুমকির মুখে। রাতের অন্ধকার আর দিনের আলোর তোয়াক্কা না করেই ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। ফলশ্রুতিতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, উর্বর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে, এবং দেখা দিয়েছে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ২ ঘিটকায় বাঘুটিয়া বাজারে ভুক্তভোগী শত শত গ্রামবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, গলায় স্লোগান— “বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য আর নয়”, “আবাদি জমি বাঁচাও”। জনতার ক্ষোভ যেন ফেটে পড়ছিল প্রতিটি কণ্ঠে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের চোখের সামনেই প্রতিদিন চলছে এই অবৈধ বালু লুটপাট। ড্রেজারের অবিরাম গর্জনে ঘুম হারাম হচ্ছে গ্রামবাসীর; নদীর বুক চিরে বালু উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা, আর সেই সঙ্গে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে শত শত একর আবাদি জমি।সেই সাথে বিলীন হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার বসতভিটা,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
প্রতিবাদকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“আমাদের জমি, ফসল আর ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমরা একসঙ্গে লড়ব। যদি অবিলম্বে ড্রেজার বন্ধ না হয়, তবে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে মাঠে নামতে আমরা প্রস্তুত।”
মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, অবৈধ ড্রেজার বন্ধে কার্যকর ও স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। একই সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তোলেন তারা।
বাঘুটিয়ার এ আন্দোলন এখন মানিকগঞ্জের গ্রামীণ জনপদে এক প্রতীকী লড়াই হয়ে উঠছে—এটি শুধু জমি বাঁচানোর আন্দোলন নয়, এটি গ্রাম ও পরিবেশ বাঁচানোর সংগ্রাম
সময় উপস্থিত ছিলেন বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম বাঘুটিয়া ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ইসলাম জয়নগর উচ্চ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বিএসসি,স্কুল কলেজের শিক্ষকার্থীসহ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
আপনার মতামত লিখুন :